ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Source: Ittefaq | 8 May 2025 | Pic: Collected
বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এই বৈঠকের প্রেক্ষাপট গঠিত হয়েছে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইয়্যবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ৭ মে ভারত “অপারেশন সিঁদুর” নামে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং ৫৭ জন আহত হন।
ভারতের এই হামলার পর পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দাবি করে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং সীমান্তে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, যার ফলে ১৫ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকটি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ঐক্য ও কৌশল নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠকে ভারত তার ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে, যা উপমহাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করা, যাতে উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
উল্লেখ্য, এই সংকটের ফলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উপরও প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের উচিত শান্তি ও সংহতির পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখা।