বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন—এই ঘোষণা দিয়েই দল জুড়ে শুরু হয়েছে এক নতুন আশার বাতাস। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “তাও নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন, তবে তারিখ এখনো নির্দিষ্ট হয়নি।

Source: Ittefaq | 11 June 2025 | Pic: Collected
৪ জুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন—“তারেক রহমান তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরবেন,”—যেটা আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে দলের প্রত্যাশা ।
দলের অভ্যন্তরে এটি এক নতুন আলোচনা ঘিরে তৈরি করেছে ‘নেতৃত্ব প্রত্যাবর্তন’কে কেন্দ্র করে, যেখানে বলা হচ্ছে—“যে দিন তিনি নিজেই আসবেন, সেই দিন ঢের কালো কাটবে রাজনীতির আকাশে” ।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সভা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
সালাহউদ্দিন ও আমীর খসরু এই বৈঠকে যোগ দেবেন; সেখানে আলোচনা করা হবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে—যেখানে তাজ্জব করে বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতের নির্বাচনের কাঠামো ও নেতৃত্ব বিষয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে ।
তারেক রহমান ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক শক্তিশালী স্লোগান দেন—“দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় কোনো দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ।”
এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, তিনি শুধু দেশে ফিরে আসছেন না—বরং জাতীয়তাবাদী মেসেজকে আবার ফিরে আনছেন অনুরাগীর হৃদয়ে।
সেই সঙ্গে দল দাবি করেছে—চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক উন্নত, ডাক্তাররা তাকে ‘বেশ ভালো’ বলেছেন ।
এতে দেশের ভিতরে আর বাইরে বিএনপি সমর্থকদের মনেও সৃষ্টি হয় পুনরায় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের আশার আলো।
- আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারেক: এক সময়ে দল জানিয়েছিল—“তিনি সকল মামলার মোকাবিলা করবেন—আইনের মাধ্যমে, নিষ্ঠার সঙ্গে” ।
- বর্তমানে বৈঠকের প্রস্তুতি চলাকালে তিনি ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সমাধান ও দলীয় সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন।
রাজনীতিবিদদের মতে, তারেকের ফিরে আসা একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে—যেখানে আওয়ামী লীগের একদলীয় রাজনীতি বিরোধী শক্তিগুলোর জন্য আবারও ঐক্য ও সক্রিয় নেতৃত্বের দিন ফিরে পাওয়া সম্ভব।
নির্বাচনের উপযোগী সংকট মোকাবিলায় তার ‘আন্তর্জাতিক ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব’ দলের জন্য একটি নতুন আশা জাগিয়ে তুলছে।