বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।

Source: Ntv | 29 May 2025 | Pic: Collected
ড. ইউনূসের মতে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নির্বাচনের পরিবেশ সবার জন্য সমান ও নিরাপদ হতে হবে।”
দেশের সাধারণ জনগণও একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই শঙ্কিত। নির্বাচনের সময় সহিংসতা, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ছিল। এবারের নির্বাচনে এসব সমস্যা দূর করার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরেও রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ড. ইউনূস বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।”
নির্বাচন কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করা। কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ড. ইউনূস বলেন, “নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরি।”
ড. ইউনূসের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্রের প্রতি তার আস্থার প্রতিফলন। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উচিত তার পরামর্শগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এতে দেশের গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে এবং জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।