Site icon ewbangla.com

নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল হারলেমে লিজনেয়ার্স রোগে ছয়জনের মৃত্যু, ১১১ জন আক্রান্ত

নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল হারলেম এলাকায় চলমান লিজনেয়ার্স রোগ (Legionnaires’ disease) প্রাদুর্ভাবে ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য মহলে উদ্বেগ বাড়ছে; স্বাস্থ্য বিভাগের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, মোট ১১১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যার মধ্যে সাতজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । প্রাণহানির ঘটনাগুলি জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই প্রাদুর্ভাবের অংশ, এবং তবে সর্বশেষ মৃত ব্যক্তির মৃত্যু ইতিমধ্যে ঘটলেও, সম্প্রতি নগর স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তাকালে শনাক্ত হয়েছে । রোগ সৃষ্টিকারী Legionella জীবাণু সনাক্ত করা হয়েছে দশটি ভবনে স্থাপিত ১২টি কুলিং টাওয়ারে, যার মধ্যে কিছু শহরের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ক্লিনিকেও রয়েছে; এই টাওয়ারগুলো থেকে দ্রুত পরিষ্কারের (remediation) কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ।

22 August 2025 | Pic: Collected


ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ZIP কোড হিসেবে 10027, 10030, 10035, 10037 ও 10039 অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এবং এই জেলাগুলিতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৩ আগস্টে, এরপর নতুন কোনো ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

নিউ ইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগ DNA বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দেখতে চাচ্ছে কোন কুলিং টাওয়ার বা টাওয়ারগুলো থেকে সিটি বাসিন্দাদের রোগ ছড়িয়েছে—এটি একটি জটিল, ধাপে ধাপে চলা প্রক্রিয়া, যেখানে ড্রপলেট কালচারিং ও জিনোয়েড সিকোয়েন্সিং ব্যবহৃত হচ্ছে।

শহরবাসী বিশেষকরে হারলেমের অধিবাসীরা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে—তদন্তে জানা গেছে, পূর্বের তুলনায় তাপ পরিদর্শনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে; ২০১৭ সালে যেখানে প্রায় ৫,০০০টি কুলিং টাওয়ারের পরিদর্শন করা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে তার সংখ্যা মাত্র ১,২০০ পর্যন্ত নেমে এসেছে।

ভবিষ্যতে এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় স্বাধীণ তদন্ত দাবি করেছেন প্রাক্তন গভর্নর এন্ড্রু কুওমো, যিনি বলছেন—শহর একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রক ও মালিক—এই ক্ষেত্রে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে এবং তাই একটি স্বাধীন রাজ্য পর্যায়ের তদন্ত অপরিহার্য ।

এই প্রাদুর্ভাবে নিউ ইয়র্ক সিটির ২০১৫ সালের ব্রঙ্কসের লিজনেয়ার্স প্রাদুর্ভারের স্মৃতি পুনরুদ্ধার করেছে, যেখানে সেই সময় ১৬ জনের মৃত্যু এবং অর্ধেক শতাধিক আক্রান্ত হয়েছিল; করোনা পরের স্বাস্থ্য নীতি এবং কুলিং টাওয়ার নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন ছিল তার সূত্রপাত ।

সনাক্ত রোগীর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট, যা প্রাথমিকভাবে জ্বর কিংবা সাধারণ নিউমোনিয়ার মতো মনে হতে পারে, কিন্তু দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া গেলে প্রাণঘাতী হতে পারে ।

Exit mobile version