বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক যুগ পর বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছে, যা ২০১৩ সালে বাতিল হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপের সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Source: Ittefaq | 1 June 2025 | Pic: Collected
২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়। রায়ে বলা হয়, দলটির গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপর দলটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে, যা দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন ছিল।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর, নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তবে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, দলটির গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য প্রগতিশীল দলগুলো এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে, তাদের মতে এটি ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে উৎসাহিত করবে। অন্যদিকে, বিএনপি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল দেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে, দলটি যদি বিএনপির সঙ্গে জোট গঠন করে, তাহলে আগামী নির্বাচনে তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, দলটির অতীত কর্মকাণ্ড ও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণ ও নির্বাচনী ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, দলটির গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে হবে, যাতে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় থাকে।