
Source: Reuters | 15 May 2025 | Pic: Collected
ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির লক্ষ্যে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুপস্থিতি আলোচনার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুতিনের প্রস্তাবে এই আলোচনা আহ্বান করা হলেও, তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন না বলে ক্রেমলিন নিশ্চিত করেছে। তার পরিবর্তে, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি এবং উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন নেতৃত্বে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেবে ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনকে সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি কেবলমাত্র পুতিনের সঙ্গেই আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধের সমাপ্তি নির্ভর করে পুতিনের সিদ্ধান্তের উপর” ।
ট্রাম্প, যিনি মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন, পূর্বে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, পুতিন উপস্থিত থাকলে তিনি আলোচনায় যোগ দিতে পারেন। তবে, পুতিনের অনুপস্থিতির খবর পাওয়ার পর, ট্রাম্পও আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ।
আলোচনার প্রেক্ষাপটে, ইউক্রেন একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ট্রাম্প সমর্থন করেছেন। তবে, রাশিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পূর্ববর্তী আলোচনায় যেমন ছিল, তেমনই কঠোর শর্ত আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা ঘোষণা এবং সামরিক শক্তি হ্রাসের দাবি ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ব্রাজিল এবং চীন, এই আলোচনাকে সমর্থন জানিয়েছে এবং পুতিনকে আলোচনায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে । তবে, রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি এবং কঠোর শর্তাবলী আলোচনার সফলতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা একটি জটিল ও অনিশ্চিত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। আলোচনার ফলাফল ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হতে পারে।