যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইনে অনুমতি ছাড়া অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও প্রকাশ এখন থেকে ফেডারেল অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯ মে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘Take It Down Act’ নামে এই আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। এই আইন অনুযায়ী, বাস্তব কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা তৈরি ডিপফেইক কনটেন্ট—যেমন রিভেঞ্জ পর্ন—প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।

Source: Online Report | 23 May 2025 | Pic: Collected
এই আইনটি বিশেষভাবে নারীদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা অনলাইনে ডিপফেইক ও রিভেঞ্জ পর্নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে কিশোরী ও তরুণীরা এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
আইন অনুযায়ী, কোনো ভুক্তভোগী যদি অনলাইনে তার অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত অন্তরঙ্গ কনটেন্টের অভিযোগ করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া, সেই কনটেন্টের সব কপি মুছে ফেলার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC)।
এই আইনটির অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনি তার ‘Be Best’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আইনটি স্বাক্ষরের সময় তিনি বলেন, “এই আইন আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা এবং পরিবারের ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতীক।”
যদিও আইনটি ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে, কিছু ডিজিটাল অধিকার সংগঠন এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে আইনপ্রণেতারা বলছেন, এই আইনটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে অনলাইনে নির্যাতনের শিকারদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
‘Take It Down Act’ আইনটি অনলাইনে অনুমতি ছাড়া অন্তরঙ্গ কনটেন্ট প্রকাশের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই আইনটি প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে এবং ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এটি একটি উদাহরণ হতে পারে, যেখানে অনলাইনে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।