গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ বিমান হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৯ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ২১১ জন। এতে করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯০১ জনে।

Source: NTV | 25 May 2025 | Pic: Collected
শনিবার (২৪ মে) গাজার খান ইউনিস শহরের নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এই হামলায় নিহত হন শিশুদের চিকিৎসক ডা. আলা আল-নাজ্জারের ৯ সন্তান। হামলার সময় তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছর বয়সী আদম গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৫৯ জনে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তারা হামাসের গাজা প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হামাস এই দাবি অস্বীকার করেছে।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা সংকটে রয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।