ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্য চক্রবর্তীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

Source: Somoy TV | 26 May 2025 | Pic: Collected
তদন্তে জানা গেছে, সাম্য চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিযুক্তদের মধ্যে পূর্ব থেকে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন সাম্যর পরিচিত ছিল, যা এই হত্যাকাণ্ডকে আরও মর্মান্তিক করে তোলে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। তদন্তে আরও জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “সাম্য চক্রবর্তীর মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সাম্যর সহপাঠী ও বন্ধু-বান্ধবরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্য চক্রবর্তীর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা বলেন, “আমাদের সন্তানের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে, ভবিষ্যতে আরও অনেক সাম্য এভাবে প্রাণ হারাবে।”
সাম্য চক্রবর্তীর হত্যাকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
সাম্য চক্রবর্তীর হত্যাকাণ্ড আমাদের সমাজে বিদ্যমান সহিংসতা ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।