বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে তার সমর্থকদের টানা আন্দোলনে নগর ভবন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ১৫ দিন ধরে চলা এই অবস্থান কর্মসূচির ফলে করপোরেশনের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যার ফলে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

Source: Somoy TV | 28 May 2025 | Pic: Collected
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ফলাফল বাতিলের আবেদন করেন। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ সব বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফলে জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমি করসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। নগর ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, এবং সেবা প্রত্যাশীরা ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।
‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে মিছিল করছেন। তাদের স্লোগান: “শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই”, “মেয়র নিয়ে তালবাহানা, সহ্য করা হবে না”, “চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে”।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও ইশরাকের শপথ গ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এই অনিশ্চয়তা আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমি করসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে গেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নাগরিকদের জিম্মি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
নগর ভবনের অবরোধ ও নাগরিক সেবা বন্ধের এই অচলাবস্থা কবে নাগাদ সমাধান হবে তা অনিশ্চিত। আন্দোলনকারীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নগরবাসী দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করছেন, যাতে নাগরিক সেবা পুনরায় চালু হয় এবং শহরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।