রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দেওয়া মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত কিথ কেলগ। মেদভেদেভের মন্তব্যকে যুদ্ধের উসকানি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন।

Source: Somoy TV | 28 May 2025 | Pic: Collected
সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের জবাবে মেদভেদেভ বলেন, “রাশিয়ায় অনেক খারাপ কিছু হয়ে যেত” বলতে তিনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি ট্রাম্প এটি বুঝতে পারবেন।”
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কেলগ এক্সে লিখেছেন, “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় জাগানো মেদভেদেভের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক, বেপরোয়া এবং বিশ্বশক্তির জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে কাজ করছেন।”
কেলগ জানান, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য তার শর্তাবলীর রূপরেখা সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, যা ট্রাম্পের সাথে গত সপ্তাহের ফোনালাপে পাঠাতে চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এক সপ্তাহ পরেও পুতিনের স্মারকলিপি না পাঠানোয় ট্রাম্প তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন।”
এর জবাবে মেদভেদেভ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “রাশিয়ায় অনেক খারাপ কিছু হয়ে যেত” বলতে আমি একটি বিষয়ই বুঝি তা হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আমি আশা করি ট্রাম্প এটি বুঝতে পারবেন।”
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি দিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে, যা কেবল ইউরোপে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ–সংক্রান্ত যেকোনো আলাপকে বিতর্কিতভাবে ইউরোপের ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে দেখে।”
এছাড়া, রুশ আইনপ্রণেতা আন্দ্রেই ক্লিসাস সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।” তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমারা উত্তেজনা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেখানে সকালের মধ্যে ইউক্রেন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে।”
বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক উত্তেজনা ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাকযুদ্ধ ও হুমকি-ধমকিতে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।