চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মেয়ে শি মিংজেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে, যা দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন করে উত্তপ্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক মহল এবং মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করছে, চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের সঙ্গে শি মিংজের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে।

Source: Somoy Tv | 31 May 2025 | Pic: Collected
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে যে, শি মিংজে চীনের সরকারের নীতিমালার সমর্থক এবং তার উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিপন্থী। তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, শি মিংজের ভিসা বাতিল করে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করতে। তাদের মতে, এটি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হবে।
চীন এই দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন।” তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক অংশীদার। এই ধরনের উত্তেজনা বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যদি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
শি মিংজেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতি কেবল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, যা কূটনৈতিক সম্পর্ক পরিচালনায় আরও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।