যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুমতি দিয়েছে, যার ফলে হাইতি, কিউবা, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আগত প্রায় ৫ লাখ অভিবাসীর অস্থায়ী মানবিক পারোল স্ট্যাটাস বাতিল করা যাবে। এই সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা, কারণ তারা এখন নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

Source: The New York Times | 1 June 2025 | Pic: Collected
২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসন এই মানবিক পারোল প্রোগ্রাম চালু করে, যার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০,০০০ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রোগ্রামের আওতায় অভিবাসীরা দুই বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রোগ্রামটি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে, অভিবাসীরা তাদের কাজের অনুমতি হারাতে পারেন এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এই রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপতি কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন ও সোনিয়া সোটোমেয়র বিরোধিতা করেছেন। জ্যাকসন তার মতামতে উল্লেখ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে।

এই রায়ের ফলে, অনেক অভিবাসী এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। তাদের মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার গড়েছেন, চাকরি করছেন এবং সমাজের সঙ্গে মিশে গেছেন। তাদের জন্য হঠাৎ করে দেশে ফেরত যাওয়া মানে সবকিছু হারানোর শামিল।
এই সিদ্ধান্তের ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্প খাতে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে নির্মাণ, আতিথেয়তা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে। এই অভিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এই খাতগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে, মানবাধিকার সংস্থাগুলি ও আইনজীবীরা অভিবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। তবে, এই সংকট সমাধানে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।