এক বিস্ময়কর ও অভূতপূর্ব বৈঠকে ওভাল অফিসে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি দুনিয়ার আলোচিত মুখ ইলন মাস্ক। তবে এই বৈঠক শুধুই রাজনীতি বা প্রযুক্তি নিয়ে ছিল না—বরং এতে উঠে এসেছে মাস্কের চোখের রহস্যময় কালো দাগ, ট্রাম্পের ব্যতিক্রমী বৈবাহিক পরামর্শ, এমনকি মাদক প্রসঙ্গও। এসব নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড়।

Source: The Guardian | 1 June 2025 | Pic: Collected
এই ‘বিদায়ী সাক্ষাৎ’ যেন এক জটিল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংকেত বহন করে। মাস্ক ট্রাম্পকে বিদায় জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু আলোচনায় বারবার ফিরে আসে মাস্কের দাম্পত্য জীবন, যা নিয়ে ট্রাম্প তার নিজস্ব মতামত দেন। মাস্কের চোখে থাকা কালো দাগ দেখে অনেকে আহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মাস্ক নিজে কিছু বলেননি। ফলে রহস্য থেকেই যায়।
সবচেয়ে বিতর্কিত অংশটি ছিল মাদক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ আলোচনা। ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন, যা পরোক্ষভাবে মাস্কের অতীত ও বর্তমান জীবনযাপনের দিকে ইঙ্গিত দেয় বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এসব নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বলা হলেও, সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এই বৈঠক শুধু একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও একজন রাজনীতিকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়, বরং এটি বড় প্রশ্ন তোলে—বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর ব্যক্তির মধ্যে ব্যক্তিগত আড্ডা কতটা প্রভাব ফেলে জনমনে?
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি রাজনীতির বাইরেও এক সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। যেখানে একজন প্রযুক্তিপতির ব্যক্তিজীবন, রাজনীতিকের ঠাট্টা-মশকরা, আর সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি—সব মিলে এক ভিন্নধর্মী আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এইসব আলোচনার পেছনে রয়েছে আরও বড় বাস্তবতা—প্রযুক্তি, রাজনীতি ও তারকা সংস্কৃতি এখন আর আলাদা জগতে নেই। বরং তারা একে অপরকে প্রভাবিত করছে প্রতিনিয়ত। এবং এই বৈঠক তারই আরেকটি উদাহরণ।