গাজায় ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। রাফাহ শহরের আল-আলম চত্বরের কাছে এই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে। রেড ক্রসের তথ্য অনুযায়ী, তাদের হাসপাতালে ৫০ জন আহতকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

Source: Ntv BD | 3 June 2025 | Pic: Collected
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে কোনো বেসামরিক নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়নি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো “মিথ্যা”। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
এই ঘটনার পর জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, “গাজায় ত্রাণ নিতে এসে ফিলিস্তিনিদের নিহত ও আহত হওয়ার খবর শুনে আমি স্তব্ধ। আমি এই ঘটনাগুলোর অবিলম্বে ও স্বাধীন তদন্ত দাবি করছি এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাই।”
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুতেরেসের বিবৃতিকে “লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেছে এবং হামাসের নাম না থাকায় সমালোচনা করেছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে এবং বিভিন্ন দেশ স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘর্ষে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা সংকটে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাসহীনতা আরও বাড়বে।
Sources