যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Source: Ittefaq | 5 June 2025 | Pic: Collected
২০২৫ সালের ৫ জুন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে বাইডেনের প্রেসিডেন্সি চলাকালীন কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি গোপন রাখতে তার সহকারীরা একটি “অটোপেন” নামক স্বাক্ষর যন্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই যন্ত্রের মাধ্যমে বাইডেনের স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশ, ক্ষমা প্রজ্ঞাপন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে ট্রাম্পের দাবি।
ট্রাম্পের অভিযোগ অনুযায়ী, বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে তার সহকারীরা এই যন্ত্রের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা সংবিধান পরিপন্থী। তিনি এই ঘটনাকে “আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এই অভিযোগের জবাবে, বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “আমার প্রেসিডেন্সির সময় আমি নিজেই সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্ষমা প্রজ্ঞাপন, নির্বাহী আদেশ, আইন এবং ঘোষণাসমূহ আমারই সিদ্ধান্তে হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ অমূলক এবং মিথ্যা।”
অটোপেন যন্ত্রটি পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরাও ব্যবহার করেছেন। ২০০৫ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের সময় এটি আইনি বৈধতা পায়। তবে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এটি শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয় নথির জন্য ব্যবহার করেছেন।
ট্রাম্প এই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল ডেভিড ওয়ারিংটনকে। তারা বাইডেনের সহকারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে সমন জারি করার হুমকি দিয়েছেন।
রিপাবলিকানরা এই তদন্তকে সমর্থন জানালেও, ডেমোক্র্যাটরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, ট্রাম্প এই তদন্তের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।
এই তদন্তের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্য এবং তার প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে এই তদন্ত কতদূর যাবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।