যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৫ জুন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোনালাপে বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা ১৭ জানুয়ারির পর তাদের প্রথম সরাসরি যোগাযোগ, যা ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির পর উভয় দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

Source: Axios | 5 June 2025 | Pic: Collected
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ জানিয়েছেন, “দুর্লভ আর্থ খনিজের জটিলতা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আমাদের দলগুলো শিগগিরই একটি নির্ধারিত স্থানে বৈঠক করবে।”
চীন বর্তমানে বিশ্বের বিরল আর্থ খনিজের প্রধান সরবরাহকারী, যা উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খনিজের উপর নির্ভরশীলতা যুক্তরাষ্ট্রকে একটি কৌশলগত দুর্বল অবস্থানে ফেলেছে। চীন এই খনিজ রপ্তানি সীমিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির পর একাধিক নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে সম্পর্ক একটি “গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে” পৌঁছেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প চীনকে “চুক্তি সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেছে” বলে অভিযোগ করেছেন এবং স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, উভয় দেশের প্রতিনিধিদল শিগগিরই বৈঠক করবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই বাণিজ্য উত্তেজনা উদ্বেগজনক। বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স খাতে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, যা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন করে তুলবে।
ট্রাম্প-শি ফোনালাপ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও, বাস্তব সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনা অব্যাহত রাখা জরুরি।