বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং তারেক রহমানও সেখানে রয়েছেন। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একটি বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Source: BBC | 5 June 2025 | Pic: Collected
ড. ইউনূস সম্প্রতি লন্ডনে পৌঁছেছেন এবং তিনি সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তারেক রহমান, যিনি দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন, বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একটি বৈঠক হলে, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে একটি বৈঠক হতে পারে, তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “এই বৈঠকটি যদি হয়, তবে তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।”
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ মনে করেন, এই বৈঠকটি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে, যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। অন্যরা মনে করেন, এটি একটি সাধারণ সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে, যার রাজনৈতিক প্রভাব সীমিত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ উত্তপ্ত। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত। এই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের সম্ভাব্য বৈঠক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের উদ্দেশ্য এবং তারেক রহমানের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে, এই গুঞ্জন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই ধরনের বৈঠকগুলির প্রভাব ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা জরুরি। তারা মনে করেন, এই বৈঠকটি যদি হয়, তবে তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আনতে পারে।
সর্বোপরি, ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের সম্ভাব্য বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এই বৈঠকটি যদি হয়, তবে তা আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।