গাজা—যেখানে প্রতিটি সকাল যেন আগের দিনের স্মৃতিকে হারিয়ে ফেলে নতুন শোকের গল্পে ডুবে যায়। সেখানেই ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০৮ জন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরা বিশেষভাবে আলোচিত—আর এই ভয়াবহতা বিশ্বকে আবার একবার মানবতার নাম করে প্রশ্নে তুলেছে ।

Source: Somoy News | 9 June 2025 | Pic: Collected
রাফাহ ও দেইর আল-বালাহ এলাকায় মানবিক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মানুষ। কিন্তু রাতের এ অন্ধকারে সেখানে সন্তানদের পেট ভরে দেবার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে যান পরিবারের সদস্যরা—তাদের জন্য তৈরি হয় “নিষিদ্ধ যুদ্ধ এলাকা”, যেখানে “সতর্কতা ছোঁড়ার নোটিস” হিসাবে গুলিতে নিহত হয় ৪ জন ।
স্টেশন ভিত্তিক ত্রাণ কেন্দ্রগুলি সেই শান্তির শেষ আশ্রয় হিসেবে দেখলেও, তা হয়ে উঠেছে “মৃত্যুর ফাঁদ”, যেন সব ভিড়ে থাকা আশা গিলে নিচ্ছে অজানা ভয়।
দেইর আল-বালাহ ও রাফাহ অঞ্চলে ১০৮টি মৃতদেহ হাসপাতালে পৌঁছায়—যা গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত। এসবের সারাংশ হলো—মেয়েরা বাবার কাঁধে অাশা বুকের স্তরে রাখতে এসেছিল, কিন্তু মানুষ “আঁধার ঢলে” হারিয়ে যায় ।
তরুণ নাসের হাসান বলেন,
“মুক্ত সময় ছিলো সকাল ৬টা–৬টা দুপুর—তখনও তারা গুলি চালিয়ে দেয়।”
এই বক্তব্য আসছে eyewitness কথা থেকে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে “নিরাপত্তাহীন মানবিক সংঘর্ষ” পরিচয় দেয়।
ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত GHFের সহযোগিতায় পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে গেছে ৭২–৮০ জনের মতো মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ।
যুদ্ধের ২০ মাসে গাজার অবস্থা এমন—সম্পূর্ণ অবরোধ, খাদ্য–জলের সংকট, হাসপাতাল অসমর্থ, আর হাজারো পরিবার “চাকলেটের বাক্সে ঢুকতে চাইছে”, কারণ পানিতে ডুবলে না খেয়ে থাকার বেলায় মৃত্যু অপেক্ষায়।
নাসের হাসপাতাল, আল-আউদা হাসপাতাল—সেখানে ছোটদের কান্না আর বড়দের অশ্রু মিলেমিশে বার্তা দিচ্ছে**–“ট্রাকের খাবার নয়, প্রাণ রক্ষার আশায় দাঁড়ান”**।
এক শিশু কান্নায় বলেছিল,
“বাবা, কেন চোখে পানি? পরিবহন করছিলাম খাবার এনে, মাছির মতো গুলি এসে গেল।”
এই কোলাহলের মধ্যেও জীবন থেমে যায় না—তবে প্রশ্ন থেকে যায়—মানবিকতার শেষ কোথায়?
গাজা–ইসরায়েল সংঘাতে এখনো কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নেই। প্রত্যেক ঈদে নবজীবন ও শান্তির আশায় মানুষের ফেরার আগ্রহদেখা যায়, কিন্তু এ যুদ্ধবিগ্রস্ত এলাকা যেন “নিষিদ্ধ মানবিক এলাকা”, যেখানে ত্রাণ কেন্দ্র মানুষের পাশে না থেকেও, সুরক্ষিত নয়।
হাসপাতালের বাইরে নারী ও শিশুদের কান্না স্বপ্থিক কন্ঠে বলে—“এখানে পানির পরিবর্তে গুলির পানির ঢেউ, খাবারের পরিবর্তে অস্ত্রের শব্দ!”
আজ গাজা শুধু শিশুরাই নয়, বহু নিরীহ মানুষের জীবন হারিয়েছে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে যেন বিশ্বের সরকার, জাতিসংঘ, এবং সব মানবিক প্রতিষ্ঠান সতর্ক হয়—যুদ্ধের নামের আড়ালে মানুষ আর শিশুদের “আমরা আপনাদের সামনে সরব হব” বার্তা পৌঁছে বলে চেষ্টা করুক।