back to top

লন্ডনে শুরু হচ্ছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার পরবর্তী পর্ব

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লড়াইতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে—মার্কিন-চীন সম্প্রতি লন্ডনে বসছে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনায়, যেখানে ফলাফলের চেয়ে আশার স্রোতে বিশ্বজুড়েই সূর্য ওঠার সম্ভাবনা তৈরী করছে ।

গত মে মাসে জেনেভায় প্রথম কোরা আলোচনায় গিয়ে একটি ৯০‑দিনের অন্তর্বর্তী চুক্তি (tariff truce) হয়েছে, দুই দফার পর ১০০ % ট্যারিফ ওঠানো স্থগিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল । তবে অগ্রগতির সেই ঢেউ ভাটিতে পরিণত হয়নি; এ কারণেই লাইভ আলোচনার দরকার উদ্ঘাটন হয়েছে।

Source: BBC | 9 June 2025 | Pic: Collected


শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন: অর্থ সচিব স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক যারা দৃষ্টি দিয়েছেন বিশেষ করে হাই‑টেক ও রেয়ার আর্থ খাত নিয়ে, এবং এম্বেসেডর জেমিসন গ্রীয়ার

চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেং, যিনি প্রস্তাবিত টাকার সাথে সঙ্গতি রেখে টেবিলে বসবেন ।


আলোচনার কাঠামো: কি কি বিষয়ে গুরুত্ব?

প্রাথমিক টেবিলেগুলোর আলোচনায় উঠে এসেছে:

  • মন্দিরতা: Rare earth ও critical minerals – চীনের বিপুল প্রাধান্য এই খাতের ওপর, যা আজকের প্রযুক্তিগত প্রগতির চাবিকাঠি; বিশেষ করে অটোমোবাইল, এআই ও অরথো-বিমান শিল্পে ।
  • রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ – বিশেষত আধুনিক চিপ ও অ্যালগরিদম যাতে চীন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
  • ট্যারিফ ও বিদ্যুৎসংক্রান্ত বিরোধ – যদিও প্রথমে এ বিষয়ে সাময়িক সমাধান হয়েছিল, এখন এটি নিট ফলাফল আনার পটভূমি হতে পারে ।

গত সপ্তাহে মার্কিন ট্রাম্প–চি প্রেসিডেন্ট শীর্ষ পর্যায়ের টেলিফোন সংলাপ আলোচনা শুরু করে—যার প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে বাজারে: এশীয় বাজারে শেয়ার সূচক বেড়েছে, ইউএস ডলার হ্রাস পেয়েছে ।

বিশেষ করে MSCI এশিয়া‑প্যাসিফিক ০.৭ %, নিক্কেই ০.৯ %, হাং সাং ০.৮ % বেড়ে ওঠায় বোঝা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আচমকা আশার সঞ্চার হয়েছে ।

ভারত-প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে নিজ আমদানি-রপ্তানি চেইন ধরে রাখতে বাংলাদেশ যেন দুই সুপারপাওয়ারের আলোচনার ফলাফলের উপরও নির্ভরশীল—বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানি (US বাজার) এবং চীনের কাঁচামাল আমদানি। আলোচনায় যদি ট্যারিফ বা রেয়ার আর্থ-নিয়ন্ত্রণে বড় কোনো পরিবর্তন আসে, তবে তার ঢেউ আমাদের অর্থনৈতিক সাম্য-ভবিষ্যতেও স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটাতে পারে।

লন্ডন বৈঠকটা শুধুই একটি একদিনের আলোচনার পর্ব নয়; বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক দোলাচলে টানা উত্তর—বিশ্ব যখন যুদ্ধ, ভূরাজনীতি আর প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতার আবর্তে ঘুরছে, তখন স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য চেইন রাখা দরকার। এ আলোচনায় কি শুধুই অস্থায়ী সম্মতি আসবে, না দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা—এটাই এখন প্রশ্ন।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img