রাজনীতির অঙ্গনে হঠাৎ আলোড়ন—দেশের প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান, একসঙ্গে লন্ডনের একটি হোটেলে বসার কথা! ১৩ জুন এই সৌজন্য সাক্ষাৎ মূলত নির্বাচনী প্রস্তাব বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণ হতে পারে, এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলে ।
এই মুহূর্তে প্রধান চ্যানেলগুলোর মনোযোগ কেন্দ্রে—তিনি কি শুধু সৌজন্যসূচক সাক্ষাৎ করবেন, না হয়তো রাজনীতির ‘টার্নিং পয়েন্ট’-এর সূচনা ঘটাতে যাচ্ছেন?

Source: Reuters | 9 June 2025 | Pic: Collected
ড. ইউনূস একদিকে—বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, গ্রামিন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি জাতীয় উপদেষ্টা হিসেবে ছাড়াও নানা কূটনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার সফরসূচিতে বাকিংহাম, চ্যাথাম হাউস, ব্রিটিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রী—সবই আছে
তারেক রহমান অন্য পাশে—বিআরডিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, যিনি দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রস্তাব ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রপোজাল—যেগুলো এই বৈঠকে জমা পড়ার কথা ।
এই মিলিত উপস্থিতি শুধু সৌজন্য কি, না ভবিষ্যতের রাজনীতিকে ঘুরিয়ে দেবে—মনে হচ্ছে নতুন রোডম্যাপের সূচনা হতে যাচ্ছে।
ইউনূসের সফর কূটনৈতিক ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের জন্য ইতিবাচক বার্তা—যুক্তরাজ্যবাংলাদেশ সম্পর্কের গুণগত উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে, তার সাথে রুপান্তরশীল রাজনীতির সম্ভাবনা যোগ হতে পারে এই বৈঠকে।
তবে একই সময়ে, মির্জা ফখরুলের মন্তব্য—“এটাই হতে পারে রাজনৈতিক টার্নিং পয়েন্ট”—এফলে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আলোচনা ।
রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক সফর আর রাজনৈতিক সুপারিশ—এই দুইয়ের সমন্বয় রাজনৈতিক দৃশ্যপটেও সাড়া ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া—আশা না সংশয়?
— বিএনপির স্থায়ী কমিটি ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তাব তারেককে হস্তান্তর করেছে ।
— ডালালওনে মনের ভাষায় প্রশ্ন—এই সাক্ষাৎ কি হবে পরিবর্তন, না সুরেলা নিষ্ফলতা?
— ফখরুলের চুড়ান্ত মন্তব্য, “এতে রাজনীতির দৃশ্যপটে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসতে পারে”—র্যাডার ক্লিয়ার?
বাংলাদেশের সাধারণ জনতা প্রশ্ন করছে—“এক রাষ্ট্রনায়ক ও অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা যখন একসাথে, তখন কি শুধু রাজনীতি নয়; নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আর কূটনৈতিক অর্থনীতিও মিশে যাচ্ছে?”
ফলে ১৩ জুন লন্ডনের সেই হোটেল রুমটি থাকতে পারে শুধু চার-পাঁচ লোকের বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক রূপান্তরের দিকনির্দেশকের মতো। আগামী ১৪ জুন দেশের ফেরার পর—সেই ‘প্রথম ইভেন্ট’ ম্যাগনিফাইড প্লাটফর্মে মনোনিবেশ করে বর্ণিত হবে।