ইসরায়েলের নৌবাহিনী বন্দি করে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে গ্রেটা থুনবার্গকে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটূক্তি ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ।

Source: Jugantor | 10 June 2025 | Pic: Collected
গ্রেটা থুনবার্গ এবং কিছু মানবাধিকার কর্মী গাজার উদ্দেশ্য নিয়ে যান ‘ম্যাডলিন’ নামে একটি ব্রিটিশ পতাকার ত্রাণ জাহাজে; তবে তারা ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আটক হন, দাবি করেন গ্রেটা । এলাকাটি আন্তর্জাতিক জলসীমার আগেই জাহাজ থামিয়ে নেয়া হয়, আর পরে আশদোদ বন্দরে আটক রাখা হয়—ইসরায়েলি রাষ্ট্রচালিত সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে ।
এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “গ্রেটা একজন ‘অদ্ভুত ও রাগী তরুণী’। আমি জানি না এটি বাস্তব রাগ কি না, তবে আমি মনে করি তাকে ‘anger management’ ক্লাসে যেতে হবে—এটাই আমার মূল পরামর্শ” । এর আগে ২০১৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনে ‘পার্সন অব দ্য ইয়ার’ হওয়ার পরও ট্রাম্প একই মন্তব্য করেছিলেন, “সে যেন রাগ সামলানো শেখে, আর বন্ধুদের কাছ থেকে পুরনো সিনেমার টিকেট নিক” ।
বিশ্বজুড়ে পরিবেশ কর্মী ও মানবাধিকার নেতারা ট্রাম্পের মন্তব্যকে “বেদনাদায়ক ও অবমাননাকর” হিসেবে নিয়ে অভিলম্বে প্রতিবাদ করেছেন । ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী—“ইসরায়েলের সমস্যা অনেক, আর তাদের গ্রেটাকে অপহরণে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই”— তা জনমনে ব্যাপক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে ।
গ্রেটা নীরবে শুধু জলবায়ু নিয়ে নয়, ফিলিস্তিনে মানবিক সংকটও তুলে ধরছেন। এজন্য তার ওপর রাজনৈতিক হেনস্থা ও ভক্তদের কটুক্তি সমাজের প্রশ্ন তুলছে। ট্রাম্পের মন্তব্য কি ঈঙ্গিত দিচ্ছে, বিশ্ব নেতাদের স্থানে পার্সোনালি সমস্যার সমাধান সীমাবদ্ধ রাখায়? যুদ্ধ এবং অবরোধের সন্নিহিতে শিল্পের দায়িত্ব কোথায়? ট্রাম্পের কংক্রিট পরামর্শ নিয়েই বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।