ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম শুক্রবার জাতিকে সরাসরি সতর্ক করেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপ “আমেরিকান গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ” শুরু করছে। অনুযায়ী তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তটি এমন এক সংকট যা আমরা ভয় করেছিলাম — আর সেই ভয় বাস্তবে রূপ নিচ্ছে ।

Source: The New York Times | 11 June 2025 | Pic: Collected
নিউজম বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের হঠাৎ ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন বাহিনী মোতায়েন এক “বেপরোয়া ক্ষমতার অপব্যবহার”। এ স্টেপকে তিনি একাডেমিকভাবে “নৈরাজ্য তৈরির নাটক” আখ্যা দেন ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ক্যালিফোর্নিয়া প্রথমs, কিন্তু পরের রাজ্যগুলি নির্দয়ভাবে আসছে। গণতন্ত্রই পরবর্তী। এটি এখনই থামানো দরকার।” এই জোরালো মন্তব্য সমাজে একটি গভীর রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি করেছে ।
লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েকদিন ধরে চলছিল অভিবাসন বিরোধী রেইড এবং বিক্ষোভ। সেই সময় ট্রাম্প প্রশাসন মোতায়েন করে প্রায় ৪০০০ ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন—মূলত স্থানীয় সরকারের ঐকান্তিক ছাড়াই ।
নিউজম এটিকে “রাষ্ট্রীয় নীতির মাত্রাও ছাড়িয়ে সাক্ষাত ক্ষমতার উৎকর্ষ” হিসেবে মনে করেন যা “রাষ্ট্রশাসনের অধিকার লঙ্ঘন করে” ।
তিনি বলেন, “এই সৈন্যরা বিদেশে যুদ্ধের প্রশিক্ষিত হতে পারে, তবে স্থানীয় জনঘরে? এতে মতাদর্শের গুঁড়িও থাকে না। এটি পঙ্গুত্ব আনে গণতন্ত্রে” ।
নিউজমের ভাষায়, “অনেক অভিবাসী সন্তান স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে, বাবা-মা তাদের কাজে যেতে দিচ্ছে না।” স্থানীয় সাংবাদিক সানি হোস্টিনের মন্তব্যও উন্মুক্তভা জানিয়েছেন—“এই পরিস্থিতির পেছনে ICE-র কার্যক্রমই ভ’ড় করেছে” । এসব সাড়া বাংলাদেশের মতো অভিবাসী শরণার্থী জীবন-ব্যবস্থার সঙ্গে অনেকটাই সংলগ্ন।
নিউজম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—যদি এইভাবে ট্রাম্প প্রশাসন অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যও মুখবন্ধের পথে চলে যাবে এবং গণতন্ত্রকেই প্রতিবাদ করতে হবে । তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল র অবতার রবার্ট বান্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি মামলা দায়ের করতে: “ফেডারেল ন্যাশনাল গার্ডের ব্যবহার আইনবিরুদ্ধ” ।
নিউজম ঘোষণা দিয়েছেন—শান্তিপূর্ণভাবে আওয়াজ তুলে দাঁড়াতে হবে, কারণ দাঁড়ানোই পারে ভয়কে পরাস্ত করার অস্ত্র। “আমরা সহিংসতার ধারণাকে ছুঁইনি, কিন্তু এই মুহূর্তে গণতন্ত্র রক্ষায় দাঁড়াতে হবে” ।