“Where is Covid now? It’s long gone”—বেশিরভাগ মানুষ হয়ত এমন ভাবছে, কিন্তু DGHS–এর দৈনিক রিপোর্ট বলছে অন্য গল্প। খুলে বলছেন—এপ্রিল মাসে কেবল ২৩টি কেস, সেই তুলনায় মে’তে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬, আর ৫ জুন একটি মৃত্যুও হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকায় positivity rate এখন 12–13%, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন আক্রান্ত ভাবে পাওয়া গেছে।

Source: Prothomalo | 12 June 2025 | Pic: Collected
নতুন ভ্যারিয়েন্টের রহস্য উন্মোচন
icddr,b ও IEDCR–এর বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো শনাক্ত করেছেন Omicron JN.1–এর সাব‑লাইনের দুটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট—XFG ও XFC—যা “খুবই সংক্রামক” বলে গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন। WHO–এর ২৩ মে–র বুলেটিন অনুযায়ী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টও দ্রুত ছড়াচ্ছে—এ পর্যন্ত ২২ দেশের ৫১৮ জন পজিটিভ হয়েছেন।
খবর ভিন্নকে ভয়ানক নয়, তবে “দ্রুত ছড়িয়ে পড়া” নিয়েই সংস্থা সতর্ক করে দিচ্ছে।
“সব নমুনায় XFG দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এটি সহজেই ছড়াতে পারে,”–অল্টেকনিকল সাবধানবাণী দিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাশ, টেস্ট কিটের অভাব
ঢাকার তিনটি বড় সরকারি হাসপাতালে RT‑PCR ও rapid antigen কিট একেবারেই নেই, ফলে দ্রুত পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে DGHS ১১–পয়েন্ট স্বাস্থ্য নির্দেশনা জারি করেছে—মাস্ক পরিধান, সামাজিক দুরত্ব, হ্যান্ড ওয়াশিং ও উপসর্গ লেগে চেক-আপ করানো সহ।
আরও উদ্বেগজনক ব্যাপার—১২ লাখ Pfizer টিকা মজুদ রয়েছে, কিন্তু টিকাগ্রহণ খুবই কম—১ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪৩ জন টিকা নিয়েছে, যাদের অধিকাংশই বিদেশ যাত্রী।
সচেতনতা জরুরি—অবহেলা করা যাবে না
Dr Mushtuq Hussain বলেন,
“বয়ষ্ক ও যাদের স্বাস্থ্যের জটিলতা আছে, তাদের এখনই টিকা নিতে হবে। মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া—এগুলো এখন অপরিহার্য।”
EPI–এর AFM Shahabuddin Khan জানান, সরকার পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রেখেছে,
কিন্তু জনসাধারণ টিকা নিতে আগ্রহী না, এই অবস্থা বিপজ্জনক।
Covid‑19 এখনো অন্ত করা হয়নি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ, টেস্ট কিট ও টিকাদানের চ্যালেঞ্জ ছড়িয়ে দিয়েছে আতঙ্ক—তবে সময় আছে প্রতিরোধ শুরু করার।
🔹 আপনি এবং আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে যা করতে পারেন:
- মাস্ক নিয়মিত পরুন
- টিকা, বিশেষ করে বুস্টার ডোজ, নিন
- উপসর্গ দেখা মাত্র স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করুন
- জনসমাগম এড়িয়ে চলুন
সময় এখনই—Covid‑এর বিরুদ্ধে আবার দাঁড়ানোর কবল: সচেতনতা, পরীক্ষা ও টিকা—এগুলোই আমাদের নতুন অস্ত্র।