ভারতের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭‑৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হলে ২৪১ মানুষ প্রাণ হারান—তবে একজন, ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ–ভারতীয় বিষ্ণু কুমার রমেশ, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। তিনি আহমেদাবাদে চিকিৎসাধীন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাসপাতালে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে দেখতে যান ।

Source: Prothomalo | 13 June 2025 | Pic: Collected
রমেশ ভোরে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “উড্ডয়নের এক মিনিটের ভেতরেই মনে হচ্ছিল কিছু একটা আটকে গেছে। উড়োজাহাজ সোজা আটকে থাকা অবস্থায় আলো ঝলমল করে উঠেছিল—অচেনা সব সবুজ ও সাদা…” । এরপর কোনো সংকেত না পেয়ে স্তব্ধ হয়ে পড়া রমেশ চোখ খুলতেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং পুড়ে যাওয়া মানুষ দেখেন।
“আমি তখন ঠিক বুঝতে পারিনি বাঁচব কিনা। চোখ খুলতেই চোখে পড়ে একটা ফাঁকা জায়গা—ঠিক পাশের দরজা খুঁজে পেয়ে আত্মহত্যার মতো করেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে পথচলা শুরু করি,” বলেন রমেশ ।
তিনি আরও বলেছেন, “আমার আসন ১১A‑তে ছিল,_exit door–এর কাছেই। সেই অদ্ভুত সময়েই বিস্ফোরণের তীব্রতা সত্ত্বেও আমি ফাঁকা জায়গা দেখে পাওয়া আশায় সিটবেল্ট খুলে পা টেনে বের হয়েছি” । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, রমেশ রক্তমাখা টি‑শার্ট পরে ধোঁয়া আর ধ্বংসাবশেষের মাঝে হাঁটছেন, নিজের পায়ে অ্যাম্বুলেন্সে প্রবেশ করছেন ।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রমেশের ভাই—আজয় কুমার রমেশ—ও বিমানটিতে ছিলেন এবং তাঁর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি ।
উড়োজাহাজটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডীয় যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া বিমানে ছিলেন ১২ জন ক্রু সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬৫–তে দাঁড়িয়েছে।
উড়োজাহাজের আরোহীরা ছাড়াও উড়োজাহাজটি যেখানটায় আছড়ে পড়েছে, সেখানেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।