আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার বেইলি রোডে অনুষ্ঠিত “লিগ্যাল এইড বিষয়ক মতবিনিময় সভায়” বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণা দিয়েছেন—শীঘ্রই সিভিল প্রসিডিউর কোডে (CPC) মহাসংস্কার আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা মামলার সময় ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি দেশজুড়ে বিচারিক দায়িত্ব ঘনিয়ে তুলতে বিচারকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও আইনি সহায়তা নীতিতে পরিবর্তন আনার কথাও উল্লেখ করেন ।

Source: Kalerkantho | 14 June 2025 | Pic: Collected
ড. আসিফ বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, আর সিভিল কোড সংশোধন করে আপসযোগ্য ছোট মামলাগুলোতে আইনগত সহায়তা বাধ্যতামূলক করা হবে” । মানে হচ্ছে—পারিবারিক ও সামান্য আর্থিক বিষয়বস্তুয় মামলাগুলো এখন আপস-ভিত্তিক চলবে, আদালতের চাকা কম সচল হবে।
এই পরিকল্পনার তিনটি প্রধান দিক হলো:
- দ্রুত রায় ও খরচ সাশ্রয়
বিলম্ব ও অতিরিক্ত খরচ কমাতে মামলা সেলার করা হবে—আইনি সহায়তা সংস্থাগুলো আপস ফোরামে ভূমিকা নেবে। ড. আসিফ আশা করছেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের সময় ও অর্থ বাঁচবে । - আদালত-চাপ ঝটপট কমবে
লিগ্যাল এইড অধিকার সংস্থা সরকারি লিগ্যাল এইড অফিসে যাওয়াকে বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে ঐনশৃঙ্খলা কোড–এর চাপ কমানো হবে। বিরোধি পক্ষ মিলিতভাবে বিষয় নিষ্পত্তি করতে পারলে তা আদালতে অপেক্ষার প্রয়োজন হয় না । - বিচারকদের দক্ষতায় বৃ্দ্ধি
আপস-ঘটিত ও কোড সংশোধনের জন্য বিচারকদের প্রশিক্ষিত করে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এতে ন্যায়বিচার আরও বেশি দ্রুত, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে ।
বাংলাদেশে এই সংস্কারের প্রভাব
- জনস্বার্থ ও ন্যায়বিচারে বৃদ্ধি: সাশ্রয়ী ও দ্রুত রায়ের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মামলায় প্রতিফলন হবে।
- আইনালিপি ও সতর্কতা: অধস্তন আপস-আরbitration প্ল্যাটফর্ম বেড়ে যাবে—সেখানে দক্ষ আইনজীবী ও বিচারকদের হাতে নিপুণ বিচার পাওয়া সহজ হবে।
- আদালত লোড হ্রাস: অধিক মামলা আপসে নিষ্পত্তি হলে আদালতের কর্মদক্ষতা বাড়বে ও দীর্ঘসূত্রী মামলাগুলোর চাপ কমবে।
ড. আসিফ মনে করেন—“এই реформিলে আমরা শুধু আইন বদলাচ্ছি না, বরং মানুষের জীবনে বাস্তব শান্তি ও সমাধান এনে দিচ্ছি।”
আপনার কি ধারণা?
- আপনি কি মনে করেন, এই реформ বাংলা আদালতি সংস্কৃতির স্বপ্নসাধনা করতে পারে?
- আপসযোগ্য মামলায় বাধ্যতামূলক সহায়তা—এতে কি জাতির বিশ্বাস বাড়বে?