back to top

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রবৃষ্টিতে ইসরায়েলে মৃত ৭, উত্তেজনায় উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য!

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা রীতিমতো যুদ্ধপর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার (১৫ জুন) ভোরে ইরান থেকে চালানো সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এই প্রাণঘাতী হামলা ছিল তেহরানে ইসরায়েলি বাহিনীর একাধিক ড্রোন আক্রমণের পাল্টা জবাব। ইরান এই হামলার নাম দিয়েছে ‘Operation True Promise’।

Source: Somoy News | 15 June 2025 | Pic: Collected


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন, দ্য গার্ডিয়ান ও এপি’র খবরে জানা যায়, ভোরের দিকে একযোগে ৩০০-এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে ইরান, যার মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম (Iron Dome) ধ্বংস করে দেয়। তবুও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হাইফা, তামরা, রিশন লেজিয়ন ও রামাট গানের মতো জনবহুল এলাকায় আঘাত হানে। এতে ধসে পড়ে ঘরবাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন। মেগান ডেভিড আদম (ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবা সংস্থা) নিশ্চিত করেছে, নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও দুজন নারীও রয়েছেন।

এই আক্রমণের পর তেলআবিবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউভ গ্যালান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ইরান আরও আগ্রাসন চালায়, তবে তেহরান জ্বলবে।” অন্যদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) জানিয়েছে, এই হামলা ছিল তেহরানে ইসরায়েলি বিমান হানার ‘সঠিক জবাব’।

বিশ্ব শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়াও এসেছে দ্রুত। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা সরাসরি এই সংঘর্ষে অংশ নেয়নি, তবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত তাদের ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই সংঘাত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী ঘিরে আগে থেকেই তেল সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় এই সংঘাত বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নয়—এটি এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। এখনো পুরোপুরি থেমে যায়নি এই সংঘাত। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে হামলা ও পাল্টা হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কামনা—এই রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব যেন দ্রুত শেষ হয়। মানবতা জিতুক, যুদ্ধ নয়।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img