back to top

আবু সাঈদের হত্যার মামলায় বরখাস্ত এএসআই ও ৩ আসামি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির!

জুলাই ২০২৪ সালের রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষসেরা ছাত্র ও আন্দোলনকারী শহীদ আবু সাঈদের বর্বর হত্যাকারীদের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সোমবার (১৫ জুন) সকালে এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, ও অপর আসামি ইমরান হোসেনকে কারাগার থেকে উঠে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ।

Source: Somoy News | 15 June 2025 | Pic: Collected


রংপুরের ওই আন্দোলনে, আবু সাঈদ পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন—তখন তিনি নিঃশব্দ ভঙ্গীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সওদা করছিলেন । এ ঘটনায় তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রসিকিউশন সময়ের আবেদন করেছে, যা শুনানির সময় বিবেচ্য হবে আর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার  ও তাঁর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে যুক্তরায় দেবেন ।

আসামিদের মধ্যে এএসআই আমির বরখাস্ত হয়েছেন এবং তিনি এই মামলায় তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশি লাঠিচার্জ ও গুলির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সরাসরি জড়িত ছিল । আবু সাঈদের ভাই রমজান ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে অভিযোগ দায়ের করেন—এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল ।


কেন এ মামলার গুরুত্ব বেশি?

  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–এ ৪ জনকে হাজির করাটিই বোঝাচ্ছে: এটি আর সাধারণ মামলা নয়, বরং মানবতা বিরোধী দুর্বৃত্তের মুখোমুখি একটি মহাযুদ্ধ।
  • মানবাধিকার ও ছাত্র-স্বাধীনতা আন্দোলনের এক শহীদ—যার মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয় গেটেই সংঘটিত—এতে জনমনে নিশ্চিন্তি ফিরিয়ে আনতে পারে এমন বিচার ব্যবস্থার ঘোষণা।
  • তরুণ সমাজ, শিক্ষার্থী ও সামাজিক কর্মীদের কাছে এটি হবে একটি শক্তিশালী বার্তা: “দেশে কোনও ষড়যন্ত্রকারী–পুলিশ–রাজনৈতিক মিশ্রণতের কেউ বিচার অযোগ্য নয়”

এই আদালতের পুরো প্রক্রিয়া না দেখলে বলা যাচ্ছে না যে, প্রত্যাশিত “ন্যায়বিচার”–এর প্রতিফলন দেখা যাবে কি না।
তথ্যটি নিশ্চিত করে যে, “আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল”—যা প্রাধান্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের তৎপরতা দেখে—এখানে সেই মানদণ্ড মেনে বিচার করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছে।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img