মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে উদ্দেশ্য করে ইরান তাদের সামরিক ও রাষ্ট্রীয় মঞ্চ থেকে একটি দৃঢ় বার্তা দিয়েছে। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের এক্স (প্রাক্তন টুইটার) ও ইরান মিলিটারি ফেসবুক অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত পোস্টে তিনি জানায়:
“Mr. Donald Trump! If you don’t know who we are, read the story of Karbala.”
এই বার্তা ইরানের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক শক্তির প্রতীক, কারবালার আত্মত্যাগের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইরান বারবার যে সংগ্রামের মনোভাব ধারণ করেছে সে কথা পুনর্ব্যক্ত করছে। কারবালাতে নবম শতকে ইমাম হুসাইন ও তাঁর পরিবার নাটকীয়ভাবে শাহাদাৎ লাভ করেছিলেন, যা শিয়া মহাজনতার অত্যাচার ও অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে ।

Source: Ntv | 17 June 2025 | Pic: Collected
এই পাল্টা বার্তা আসে ঠিক তখনই, যখন ট্রাম্প নিজেই তেহরানের বাসিন্দাদের অবিলম্বে শহর ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত সোমবার (১৬ জুন) তিনি Truth Social-এ পোস্ট করে বলেন:
“Everyone should immediately evacuate Tehran! Iran cannot have a nuclear weapon.” apnews.com+12reuters.com+12nypost.com+12
ট্রাম্পের এই আহ্বান ও ইরানের পাল্টা বার্তা—সবই চলমান মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ভেতর গভীর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব তুলে ধরছে।
পটভূমি ও উত্তেজনার কারণ
গত ১২ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, আইআরজিসি কمان্ডার হোসেইন সালামি, এবং আরও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন । তাতে ইরান হুঁশিয়ারি হিসেবে ইসরায়েলে কঠোর প্রতিশোধের কথা ঘোষণা করে এবং হামলা চালিয়ে যায়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ভিতরে আকাশ হামলা ও ভূমি তাণ্ডব জারি রাখতে থাকে ।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সরাসরি তেহরান ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে, ইরানের প্রতিক্রিয়া রাজনীতি ও ইতিহাসের মিশ্রণে যুদ্ধের মানসিকতা প্রকাশ করে—it’s not just a battle; it’s a message rooted deep in identity and faith।
বিশ্ব প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক নিরাপত্তা
- ট্রাম্প, গি-৭ সন্মেলন অর্ধেক দিনে ত্যাগ করে, জলন্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে ।
- তবে, ওয়াশিংটন এই সংঘাতে সরাসরি বিশৃঙ্খলা বা হামলায় যুক্ত না হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।
- পাশাপাশি, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি মন্তব্য করেন, “ওয়াশিংটনের একটা ফোন একবার ইসরায়েলকে থামাতে পারে”—এটি ইঙ্গিত করে যে, ইরানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনো গুরুত্বপূর্ণ।