১৭ বছর পর দেশে ফিরতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তার এই প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে রাজনৈতিক পরিবেশ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি। নির্বাচন সামনে রেখে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন করে তার দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। চিকিৎসা ও রাজনৈতিক কারণে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা এই নেতা সম্প্রতি প্রায় সব মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকেও তার দেশে ফেরার পথে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানানো হয়েছে।

Source: BBC Bangla | 20 June 2025 | Pic: Collected
বিএনপি সূত্র জানায়, নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত হলে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির আগেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান। তিনি দেশে ফিরে নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন—এমন ধারণাই দিচ্ছেন দলের ঘনিষ্ঠ মহল।
তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘোষণার পরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। আইনি ও রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূলে আসছে। খুব দ্রুতই আমরা তাঁকে দেশে দেখতে পাবো ইনশাআল্লাহ।”
এদিকে তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরও একইসঙ্গে আশাবাদী। তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে সরকার যদি একটি নিরাপদ ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে, তাহলে তারেক রহমান অবশ্যই দেশে আসবেন।”
তবে তার দেশে না ফেরার বিষয়েও রয়েছে অনেকের কৌতূহল। যদিও আইনি ও রাজনৈতিক বাধা দূর হয়েছে, তারপরও তার নিরাপত্তা এখন বড় প্রশ্ন। হুমায়ুন কবির বলেন, “ওনার মতো নেতার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু আইনগত নয়, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগও রয়েছে। এশিয়ার রাজনীতিতে এ রকম উদ্বেগ নতুন কিছু নয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, এক এগারোর সময় জোর করে পাঠানো হলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। তবে তিনি আশঙ্কার কথাও বলেন, “দেশের রাজনীতিতে প্রতিহিংসা প্রবল। হয়তো অনেকেই ভাবছেন, তারেক রহমান ফিরে এসে প্রতিশোধ নেবেন। এটাও একটা রাজনৈতিক বাস্তবতা।”
সবমিলিয়ে বলা যায়, নির্বাচনের আগেই তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দলীয়ভাবে প্রস্তুতি চলছে গুলশানে তার বাসস্থানেও। ১৯৮১ সালে খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ পাওয়া বাড়িটিতে ইতিমধ্যে সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশে ফিরে সেখানেই উঠবেন বিএনপির শীর্ষ নেতা।