মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভেতরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে। টার্গেট ছিল—ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহান—যেগুলো আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পারমাণবিক সংস্থা (AEOI)। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং বিশেষত পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর চরম লঙ্ঘন।’ সংস্থাটি অভিযোগ করে, আইএইএ-এর নিষ্ক্রিয়তা ও নিরবতা এই হামলায় পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে।

Source: Jugantor | 22 June 2025 | Pic: Collected
এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই এ হামলার দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছেন। জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই—এই আদিম আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং ইরানের সার্বভৌম অধিকার রক্ষা করুন।” ইরান জানিয়েছে, তাদের হাজার হাজার বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ এই ষড়যন্ত্রের পরও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে অটল থাকবে এবং ‘প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি (IRIB) জানায়, ফোরদোর স্থাপনাস্থলের প্রবেশদ্বার ও বহির্গমন গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাশান ও ইসফাহান অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্বোম প্রদেশের একজন মুখপাত্র জানান, “শত্রুপক্ষ ফোরদোর অংশবিশেষে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।” তবে হামলার আগেই ওইসব স্থাপনা খালি করে ফেলা হয়েছিল বলে জানান আইআরআইবি-র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার সংঘাতের ইঙ্গিত বহন করছে এবং আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। এটি মার্কিন প্রশাসনের ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের এক নজির হয়ে থাকবে।