ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, সেই উত্তাপে যুক্তরাষ্ট্র এবার সরাসরি কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার (২১ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় – ফোর্ডো, নাতান্জ ও ইসফাহান – হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্পের বরাত দিয়ে তা “সফল এবং পরিকল্পিত” বলেও দাবি করা হয়েছে ।

Source: Jugantor | 22 June 2025 | Pic: Collected
তবে তেহরান আগেই এমন হামলার গুঞ্জনে প্রস্তুত ছিল। পার্লামেন্ট স্পিকারের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদি জানিয়েছেন, ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি ‘দীর্ঘদিন আগেই খালি’ করা হয়েছিল । মোহাম্মাদির মর্মে, “জ্ঞান বোম্ব দিয়ে ভস্ম করা যায় না,” যা ইরানের দৃঢ় প্রতিরোধের স্বরূপ । একই সঙ্গে বলা হয়েছে, আঘাত “অনশোধনীয় ক্ষতি” হয়নি, শুধু স্থাপনায় কিছু সীমিত দরজা ও গেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (AEOI) মার্কিন হামলাকে “জঘন্য” আখ্যায়িত করেছে এবং এটিকে জাতিসংঘ চার্টার ও পরমাণু-নিষেধ (NPT) চুক্তির প্রতিকূল উল্লেখ করেছে । সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের নিষ্ঠুর লঙ্ঘন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা উদ্বেগজনক।”
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRIB জানিয়েছে, কাশান ও ইসফাহানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যায়; সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল । তবে তেহরানের প্রতিক্রিয়া আরও স্পষ্ট—তারা সতর্ক করেছে, “আমরা প্রতিহিংসার জন্য প্রস্তুত।” স্থানীয় কায়হান পত্রিকা জানিয়েছে, “আমেরিকান নৌবহর হবে আমাদের সামনে” ।
ফোর্ডোর ভূগর্ভস্থ প্রকৃতি অনেকের মনে করেছে এটি ধ্বংস করা কঠিন; বিশেষত B‑2 বোমারু বিমান থেকে নিযুক্ত GBU‑57 এ/বি ‘ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স পেনিট্রেটর’ বা ‘বাঙ্কার বাস्टर’ বোমা ব্যবহার হলেও সত্যিকার ফল পাঁচ দিনের মধ্যেই বোঝা যাবে ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই ধরনের হামলা চালায়, তবে এটি নতুন সংঘটিত ঘটনার সূচনা হবে—যার ফল হতে পারে ইরানের প্রতিশোধাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রোত্তর হামলা, হরমুজ প্রণালি অবরোধ বা বিপুল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ।