ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের Saturday রাতে তেহরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো বিমান হামলার ফল “চিরস্থায়ী” হবে এবং সে হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে ।

Source: Jugantor | 22 June 2025 | Pic: Collected
আরাগচি বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার স্থায়ী সদস্যত্বের মর্যাদার অপব্যবহার করেছে এবং ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্যবিদ্ধ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন চুক্তি (NPT) ভঙ্গ করেছে। তিনি ইশতেহার দেন, “জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যকে অত্যন্ত বিপজ্জনক, আইনবিরোধী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক থাকতে হবে।” আরাগচির কাছে ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিরোধের সব অধিকার রাখে ।
তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন হামলায় ফোরদো, নাতান্জ ও ইস্পাহানে আঘাত হানা হয়েছে, যা ইরানি পক্ষ ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতি স্থায়ী নয় এবং তহফাজতেও বড় ধরনের প্রভাব পড়েনি ।
ইরানি আইনপ্রণেতা মাহদি মোহাম্মাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “জ্ঞান বোম্ব দিয়ে ভস্ম করা যায় না,” এবং ওয়াশিংটন বলেছে হামলাগুলোর একটি অংশ আগেই খালি করা হয়েছিল ।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ
- আইনি ইস্যু: ইরান দাবি করছে যে, মার্কিন ঐকশিক কর্মসাধন আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। NPT ঊলঙ্ঘনের অভিযোগ তারা তুলেছে ।
- সামাজিক প্রতিক্রিয়া: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাও সতর্ক করেছেন, “ইরানে হামলা হলে এর ভয়াবহ পরিণতি হবে” ।
- প্রতিফলিত উত্তেজনা: সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পাল্টা হামলাগুলো ইরানের প্রতিরোধ ও সর্বোচ্চ সামরিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয় ।
ইরানের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট: “চিরস্থায়ী” পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার প্রতি সতর্কবার্তা দিচ্ছে তারা। সাম্প্রতিক হামলা কৌশলে কেন্দ্রীভূত হলেও আইনি ও কূটনৈতিক আবহে তরলতা নেই — উল্টো উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। শান্তি ও স্থিতি নিশ্চিত করতে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের সক্রিয় প্রচেষ্টা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।