back to top

ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা সাময়িক বন্ধ করল অ্যামেরিকা

রাশিয়ার সঙ্গে টানা যুদ্ধরত ইউক্রেনকে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র মজুতের ওপর সম্ভাব্য চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য নির্ধারিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কংগ্রেসের দুই কর্মকর্তা এবং পেন্টাগনের ঘনিষ্ঠ দুই সূত্র।

Source: Online Report | 2 July 2025 | Pic: Collected


কেন এই সিদ্ধান্ত?
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভাণ্ডারে টান পড়ছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে, মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং ইউক্রেনকে লাগাতার সমর্থনের ফলে মার্কিন সেনাবাহিনীর নিজস্ব প্রস্তুতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দায়বদ্ধতার নিরীক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা প্রশ্নাতীত। এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত পর্যালোচনার অংশ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারগুলো নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে।”

কোন অস্ত্রগুলো আটকে গেছে?

চারজন মার্কিন কর্মকর্তা ও দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নিচের উল্লেখযোগ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান এখন স্থগিত:

  • প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপটর (রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা)
  • হাউয়িটজার কামানের কয়েক হাজার ১৫৫ মিমি গোলা
  • ১০০+ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র
  • ২৫০টি GMLRS (Precision Guided System)
  • স্ট্রিংগার (ভূমি থেকে আকাশ) ক্ষেপণাস্ত্র
  • AIM আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র
  • অত্যাধুনিক গ্রেনেড লঞ্চার

ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স যদিও এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে CBS ও The Hill জানিয়েছে, অস্ত্র মজুত পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো চালান পাঠানো হবে না।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কী?

পেন্টাগন সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে চলমান সামরিক দায়িত্ব ও সম্ভাব্য সংঘাত পরিস্থিতি বিবেচনায় এই অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত ‘দীর্ঘমেয়াদি’ও হতে পারে। তবে ইউক্রেনকে একেবারে সমর্থন বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়তে থাকে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়ে আসছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অস্ত্র সংকট এবং অন্যান্য ফ্রন্টে মার্কিন সামরিক সম্পৃক্ততা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আরও জটিল করে তুলছে।

- Advertisement -spot_img
Related News
- Advertisement -spot_img
Explore More
- Advertisement -spot_img