মুম্বাই শহর নিরাপত্তা চার্চার সর্বোচ্চ তালে বিরূপ অবস্থায় পৌঁছেছে, যখন ট্রাফিক পুলিশ অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি শঙ্কাজনক হুমকিপূর্ণ মেসেজ পৌঁছায়। ওই বার্তায় দাবি করা হয়, ‘লস্কর-ই-জিহাদি’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৪টি গাড়িতে “মানব বোমা” লাগিয়ে রেখেছে, এবং ৪০০ কেজি RDX বিস্ফোরকও প্রয়োগ করা হবে—যা মুম্বাই নিজেকে বিস্মৃত করবে, কারণ সেখানে ১৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গিদের মাধ্যমে এই সব আয়োজন করা হয়েছিল। এই ভয়াবহ পরিকল্পনা ঘটানো হতে পারে গণেশ চতুর্দশীর সমাপ্তি উপলক্ষে শহরে যে বিশাল জনসমাগম হয়েছে—যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ একসাথে মণ্ডপ পরিদর্শন ও বিসর্জনে অংশগ্রহণ করেন।

5 September 2025 | Pic: Collected
পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে রাজ্য ও স্থানীয় পুলিশ ব্যবস্থা অবিলম্বে সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, তারা পুরো শহরে নিরাপত্তা উন্নত করেছে এবং গোটা হুমকিটির প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়েছে, নাগরিকরা গুজব ছড়াবেন না এবং কোনও সন্দেহভাজন কর্মকাণ্ড নজরে এলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে—এতে সমগ্র জনসাধারণের নিরাপত্তার বিষয়টি অটুট থাকবে।
এই হুমকি আবারও জনসাধারণের মনে কঠিন আজব অনুভূতি তৈরি করেছে, কারণ মুম্বাই বিসর্জনের সময়সূচি চলছে—যেটি প্রতি বছর ‘লালবাগচা রাজা’ প্যান্ডাল ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে বিপুল ভিড়ের সৃষ্টি করে। অতীতের ২০০৬ সালের ট্রেন বোমা হামলা বা ১৯৯৩ সালের বোম্বে বোমিং–এর স্মৃতি ফের জাগে, যেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরকম হুমকি স্রেফ উত্তরদায়ী নয়; বরং প্রতিরোধের জন্য সবার একযোগে নজরদারি ও সহানুভূতি প্রয়োজন।
সংক্ষিপ্ত সংকেতে বলা যায়, মুম্বাই পুলিশের মাধ্যমে প্রাপ্ত হুমকিপূর্ণ বার্তায় ৩৪টি মানব বোমা, ৪০০ কেজি বিস্ফোরক, এবং পাকিস্তানি জঙ্গিরা–এর পরিকল্পনা সন্দিগ্ধ এবং ভয়াবহ। ফলে শহরে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান এবং কোনো সন্দেহজনক খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।