গাজা ইস্যুতে নীরব বিশ্বের সমালোচনায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: আন্তর্জাতিক মহলে গাজার মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডকে ‘ইচ্ছাকৃত যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে জোলি গাজাকে ‘গণকবর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গাজার নিপীড়িত মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা শেয়ার করেছেন।

9 September 2025 | Pic: Collected
গত বছরের নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বিশ্বমঞ্চে মানবাধিকারের পক্ষে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছেন। তার এই পদক্ষেপে ইসরায়েলি উগ্র ডানপন্থিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, নিহত হয়েছেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির গাজার প্রতি সমর্থন আন্তর্জাতিক মহলে মানবিক সহানুভূতির আওয়াজকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি তার এই পদক্ষেপকে মানবাধিকার রক্ষার একটি সাহসী উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। তার বার্তায় উঠে এসেছে যে, নিপীড়িত জনগণকে সমর্থন না দিলে আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা এক ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বলেন, গাজার মানুষদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। গাজার মানবিক সংকট, নিহত শিশু ও নারী এবং অসহায় মানুষের চিত্র বিশ্ববাসীকে সচেতন করছে এবং এই পরিস্থিতিতে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধান প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জোলির এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করছে, যেখানে মানবাধিকারের চর্চা এবং নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহানুভূতি অপরিহার্য। এছাড়া, তার এই উদ্যোগ অন্যান্য সেলিব্রিটি এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদেরও প্রভাবিত করতে পারে, যারা একইভাবে মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হতে পারেন। জোলি বারবার মানবাধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কণ্ঠ উচ্চারণ করে চলেছেন এবং গাজার পরিস্থিতি তার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে তিনি আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারকদের সামনে একটি দৃঢ় মানবিক বার্তা প্রেরণ করছেন, যাতে নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সঠিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা যায়। তার এই সাহসী সমর্থন নিঃসন্দেহে গাজার মানুষের জন্য আশার আলো এবং আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।