মার্কিন মাটিতে বসবাসকারী বিদেশিদের জন্য আর কোনো ছাড় নেই—এবার একবার ভুল করলেই চরম শাস্তি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ঘোষণায় নতুন ‘ক্যাচ অ্যান্ড রিভোক’ নীতির অধীনে ভিসাধারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। (সূত্র: Cato Institute, American Immigration Council)

Source: USA Today | 4 May 2025 | Pic: Collected
রুবিও জানিয়েছেন, “যখনই কোনো বিদেশি মার্কিন আইন লঙ্ঘন করবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ভিসা বাতিল করব। এখন থেকে ভিসা একটি সুযোগ, অধিকার নয়।” তবে কী ধরণের অপরাধে ভিসা বাতিল হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা আসেনি। এই অস্পষ্টতাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মাঝে।
উদাহরণ হিসেবে, কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে কেবল ট্রাফিক আইনের সামান্য লঙ্ঘনের কারণেই ভিসা বাতিল হয়েছে। কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করলেও শাস্তির মুখে পড়েছেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রেইচলিন-মেলনিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখন তো স্পিডিং টিকিটেও ভিসা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে!”
সাতার বছরের সেবা প্রদানকারী ক্যাটো ইনস্টিটিউটের ইমিগ্রেশন স্টাডিজ ডিরেক্টর ডেভিড বিয়ার বলেন, “এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনবিরুদ্ধ এবং ভয়াবহ। কোনো দক্ষ বা উচ্চবিত্ত ব্যক্তি এমন দেশে থাকতে চাইবে না যেখানে ছোটখাটো ভুলে জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।”
স্থানীয় প্রবাসী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা এখন আতঙ্কে, কারণ একটিমাত্র ভুল তাদের স্বপ্নের দেশ থেকে বের করে দিতে পারে। ইতোমধ্যে শত শত শিক্ষার্থী এই নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেছেন, যার জেরে সরকার সাময়িকভাবে ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়েছে।
এই কঠোর ভিসা নীতির পরিণতি কতদূর গড়াবে, সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তবে এক বিষয় স্পষ্ট—মার্কিন ভিসা এখন আর নিরাপদ আশ্রয় নয়, বরং এক অস্থিরতার প্রতীক।