যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা বাতিল ও SEVIS রেকর্ড বাতিলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না, ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, এমনকি আইনি সহায়তা ছাড়া ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Source: Online Report | 9 May 2025 | Pic: Collected
এপ্রিল ২০২৫ থেকে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, ১,১৯০ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল বা SEVIS রেকর্ড বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে শিক্ষার্থীরা চাকরি হারিয়েছেন, ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না এবং অনেকেই দেশে ফেরার চিন্তা করছেন।
বিশেষ করে, যারা প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বা সামাজিক মাধ্যমে এমন মত প্রকাশ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি, ছোটখাটো অপরাধ যেমন দোকান থেকে পণ্য চুরি বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেও ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
আইনি লড়াইয়ের পর, কিছু শিক্ষার্থীর ভিসা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, তবে প্রশাসন ভবিষ্যতে আরও কঠোর নিয়ম আরোপের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও জটিল। অনেকে নিয়ম ভঙ্গ না করেও ভিসা বাতিলের মুখোমুখি হয়েছেন। যারা অতিরিক্ত কাজ করেছেন বা ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই সংকটময় সময়ে, শিক্ষার্থীদের উচিত আইনি পরামর্শ নেওয়া, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, যাতে তারা নিয়ম মেনে চলেন এবং সচেতন থাকেন।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কঠিন সময়। তবে সচেতনতা, নিয়ম মেনে চলা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।