কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে হামলা চালায়। এর জবাবে, পাকিস্তান ১০ মে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের অন্তত ১১টি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

Source: Ekushey-TV | 10 May 2025 | Pic: Collected
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, পাঠানকোট, উধামপুর, গুজরাট এবং রাজস্থানের বিমান ঘাঁটি ছাড়াও ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রাহ্মোস’-এর একটি গোপন মজুতস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তান তাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
পাকিস্তান আরও দাবি করেছে, জম্মু-কাশ্মিরের উরি শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং রসদ ডিপো ধ্বংস করা হয়েছে। নাগরোটায় আর্টিলারি ব্যাটারিও ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জাবের আদমপুরে ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়েছে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান।
ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলোর সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) জানায়, এস-৪০০ সিস্টেম সম্পূর্ণ সচল রয়েছে এবং পাকিস্তানের দাবি ভুয়া।
এই সামরিক উত্তেজনার মধ্যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং ইরান উভয় দেশকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, তথ্যের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুয়া খবর ও গুজব পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।