নিউ ইয়র্কের আদালতে উঠলো চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন—‘Diddy’ হিসেবে খ্যাত স্যাঁন কম্বস কি শুধুই মিউজিশিয়ান, না কি এক মানবিক ও যৌন প্রতারণার প্রতিবেশী? তার বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন পাচারের ও গ্যাংলিন নির্যাতনের অভিযোগ, এবং তার অন্যতম সাক্ষী “জেন” মুখ খুলেছেন এক অভূতপূর্ব কাহিনীতে ।
জেন–এর বিবরণে উঠে এসেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তিনি ছিলেন কম্বসের রোমান্টিক পার্টনার—যেখানে প্রথমে ‘দুঃস্বপ্নময়’ অভিজ্ঞতার খুঁটিনাটি খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে শেয়ার করেন। তবে এর পরই মর্মান্তিক পরিস্থিতির সূচনা হয়—মাদকাসক্ত “হোটেল নাইট”, যেখানে জেন দাবি করেন রাতে ২০–৩০ ঘণ্টা ধরে একাধিক পুরুষ এস্কোর্টের সঙ্গে কম্বস দেখতেন তাঁকে, নিজে উত্থান-নামা দিতেন, এসব ভিডিও করতেন ।

তারপরও জেন বারবার কম্বসকে জানিয়েছিলেন—“আমি আর এটা চাই না”, কিন্তু পরিস্থিতি তেমন না—কম্বস প্রতার করে প্রতার করে “ভ্রমণ” এবং “ভালো মুহূর্ত” প্রতিশ্রুতি দিলেও ফিরে আসতো আবার হোটেল নাইট-এর মাদক ও যৌন হলুমায় ভরা সংস্থা ।
অন্যদিকে, ২০২৩–এ “সোবরিটি পার্টি” দাবি করে কম্বস জেনকে পুনরায় সেই রাতে আকর্ষণ করেন—মাদক ছাড়াই—তবে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা অতিক্রম করে এবং একাধিক পুরুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করে এই বিধ্বংসী পর্ব চালানো হয়। এক পর্যায়ে জেন হসপিটালাইজড—in অনুভূতি বলে দেন তিনি “I was just repulsed” ।
জেন courtroom testimony-তে জানান, ২০২৩ বসন্তে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল “লাভ কন্ট্র্যাক্ট”—যার আওতায় কম্বস জেনের রেন্ট পরিশোধ ও অর্থনৈতিক সহায়তা করতেন । কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি চাপ প্রয়োগ করতেন। একবার PTSD–এর কথা বলার পরও তিনি জেনকে “পাগল” বলে কেবল যোগ করতেন। ভয়ঙ্কর শুরু হয়েছিল যখন তিনি মাদক ও যৌন সম্পর্ক ছাড়াও “তোমার কাজ করো”—এই শর্ত আরোপ করেন, যা সরাসরি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পথে পরিচালিত করে ।
এ সাক্ষ্য–প্রমাণের পেছনে দৃশ্যগুলো স্যাঁন কম্বসের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসি ভেন্টুরার সঙ্গে ঘটনার সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে—কম্বসের পক্ষ থেকে “মিশ্রণপদ্ধতিটি” কৌশলে প্রয়োগ হয়েছিল বলেই আদালতে উঠে এসেছে । ক্যাসির অভিযোগের সাথে এই জেন–এর কাহিনী মিললো—“যেখানে ভালোবাসা থেকে শুরু হয়ে গেছে নির্যাতন, মিথ্যাচারের নেটওয়ার্ক”।
আজকের এই মামলা আর স্বপক্ষে নয়—এটা এক ধরনের সামাজিক স্পটলাইট, যেখানে মাদক, যৌন পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, এসব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার দরজা খোলা হচ্ছে। জেন–এর ভাষায় একজন প্রভাবশালী, ধনী পুরুষ কীভাবে নারীকে ‘খেলনা’ করে ব্যবহার করেন—সেই প্রশ্নটা আবার তীব্রভাবে সামনে এসেছে।