একদিকে টেসলা আর স্পেসএক্সের মতো প্রকল্পের জন্য পরিচিত এলন মাস্ক, অন্যদিকে এআই জগতে আরও এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন তিনি, যার নাম হলো Macrohard—যে নামটিতে হাস্যরস রয়েছে, তবে প্রকল্পটির গুরুত্ব সর্বৈব গুরুত্বপূর্ণ। আগস্ট ২২ তারিখে xAI উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগের ঘোষণা দেয় মাস্ক, যেখানে তিনি টুইট করেছেন, “Join @xAI and help build a purely AI software company called Macrohard. It’s a tongue-in-cheek name, but the project is very real!” । মাস্ক দাবি করেন, যেহেতু Microsoft সরাসরি কোনো হার্ডওয়্যার তৈরি করে না, তাই পুরো সফটওয়্যার কোম্পানিটিকে AI দিয়ে “simulate” করা সম্ভব; অর্থাৎ, কোড লেখা, ম্যানেজমেন্ট, চ্যাটবট তৈরি—সবকিছুই AI-এর মাধ্যমে পরিচালনা করা যায ।

26 August 2025 | Pic: Collected
xAI ইতিমধ্যে মার্কিন প্যাটেন্ট অফিসে “Macrohard” নামে একটি ট্রেডমার্ক আবেদন করেছে, যা AI-সিডযুক্ত স্পিচ ও চ্যাটবট সফটওয়্যারকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই ধারণার ভিত্তিতেই গড়া হয়েছে একটি “multi-agent” AI কাঠামো, যেখানে “Grok” নামের চ্যাটবট নিয়ন্ত্রিত শত শত বিশেষায়িত AI এজেন্ট একসাথে কাজ করবে—তার একাডেমিক যুক্তি হলো, এজেন্টরা ভার্চুয়াল মেশিনে মানুষের মতো কার্য সম্পাদন করবে, যতক্ষণ না ফলাফল নিখুঁত হয় । প্রকৃতির কাছে Macrohard বলতে হয়—এটি শুধু একটি প্রজেক্ট নয়, বরং Ai-চালিত সফটওয়ার উন্নয়নের ভবিষ্যতের পরীক্ষা।
Colossus 2 সুপারকম্পিউটারের শক্তির উপর নির্ভর করে তা Microsoft-এর মতো সংস্থার অপারেশন পুরোপুরি চাক্ষুষ করানোর চেষ্টা করবে। এই সূত্রে ক্ষণস্থায়ী ট্রোল ও মেমে গঠনে রূপান্তরিত বিষয়টি এখন প্রকৃতির তফসিল, যেখানে অনেকেই Macrohard-এর মাধ্যমে সফটওয়্যার জগতের নতুন অঙ্কন দেখতে পাচ্ছেন। তবে শত বা হাজারো AI এজেন্ট দিয়ে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি চালু করার বাস্তবায়ন, বিশ্বস্ততা, আইনি কাঠামো এবং ব্যবসায়িক গ্রহণযোগ্যতা—এসবই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । Macrohard-এর এই উদ্যোগ শুধু Microsoft-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, এটি সফটওয়্যারের ভবিষ্যতে AI-এর সম্পূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার এক সাহসী বার্তা।