যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে গত শনিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন, “We Are All D.C.” শীর্ষক মিছিলে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ সময় তারা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে ও স্লোগান দিতে থাকেন: “ট্রাম্পকে এখনই বিদায় করতে হবে”, “ডিসিকে মুক্ত করো”, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো” ।

7 September 2025 | Pic: Collected
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীরা, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থকরা, ACLU এবং Home Rule কর্মীরা উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন। এক বিক্ষোভকারী অ্যালেক্স লাফার বলেন, “আমি এসেছি ডিসির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আমরা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে, ফেডারেল পুলিশ এবং ন্যাশনাল গার্ডকে রাস্তা থেকে সরাতে চাই” ।
ট্রাম্প দাবি করেছেন তিনি শিরোফপ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট—এজন্য গত মাসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন, সেইসঙ্গে ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে । তবে বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে রাজধানীতে সহিংস অপরাধ ৩০ বছরের নিন্মতম পর্যায়ে নেমেছিল ।
নিচে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট তুলে ধরা হলো:
- নাগরিকদের বিরোধ: প্রশাসনের এই সামরিক পদক্ষেপকে অনেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর হুমকি মনে করছেন। “অভিযোগ উঠেছে, এটা ফেডারেল ক্ষমতার অপব্যবহার” ।
- আইনি চ্যালেঞ্জ: ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শওয়ালব একটি মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে এটা অবৈধ সামরিক দখল—সিটির স্বায়ত্তশাসন আইন এবং Posse Comitatus Act উভয়ই লঙ্ঘন করেছে ।
- লোকাল প্রতিরোধের নতুন ধরণ: শুধু মিছিল নয়, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা, রাতের সময় হাঁটতে হাঁটতে “পট-বাংলা” প্রতিবাদ, স্ট্রিট আর্ট—এসবভাবে বিক্ষোভ আরও ব্যক্তিগত ও বহুদলে বিস্তৃত হচ্ছে ।
তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা মনে করেন, পুলিশের ফেডারেলাইজেশন এবং সেনা মোতায়েন অপরাধ দমনের জন্য জরুরি ছিল। ডেমোক্র্যাট প্রশাসিত শহরগুলোর মতো ডিসিতেও একনায়কতান্ত্রিক হুমকি তৈরি হচ্ছে—এমন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জনসমর্থন নেই বলে ধারণা করা হয় ।
ছয়টি রিপাবলিকান আঞ্চলিক অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ২,০০০ সৈন্য ডিসিতে মোতায়েন রয়েছে, যাদের সেবা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে । তবে এবার আর্থিক ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে: “এটা সত্যিই প্রয়োজন ছিল কি, নাকি এটা গণতন্ত্রের ইচ্ছার ওপর এক ভয়াবহ চাপ?”—এমন প্রশ্ন এখন উঠছে সর্বত্র।
এই ঘটনার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি না শুধু একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র, বরং এখন দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছে। 시민েরা বলছেন, “আমাদের স্বায়ত্তশাসন আমাদের অধিকার—এটি ফিরিয়ে আনতেই হবে।”