মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদকের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার ‘মাদক-সন্ত্রাসী’ চক্রের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন; খবর পাওয়া গেছে, তিনি পুয়ের্তো রিকো থেকে ১০টি এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন, যা ইচ্ছাৰক্ষা ও কর্মক্ষমতার লক্ষ্যপ্রণোদিত হুমকির প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা গুরুত্ব নিয়ে বিবেচনা করছে, এবং এ ফ্লাইং ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।

6 September 2025 | Pic: Collected
পরিস্থিতির উত্তাপে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সহিংস শাসন পরিবর্তনের পরিকল্পনা’ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, এবং সতর্ক করে দিয়েছেন—”আমাদের সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও স্বাধীনতা রক্ষার অধিকার রয়েছে, সংলাপ ছাড়া আক্রমণ জামানত হিসেবে গ্রহণ করা হবে না”। কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, আমেরিকা ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনী, মেরিন বাহিনী এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে, যেখানে একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রধারী ধ্বংসযজ্ঞ ইউএসএস জেসন ডানহামকে একটি উদ্ভূত হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে—ভেনেজুয়েলার দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তার কাছে উড়ে আসায়।
ট্রাম্প পরবর্তীতে সাফ জানিয়ে দেন, যদি কোনো বাহিনী বিপজ্জনক অবস্থায় আসে, তাহলে তার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলির নির্দেশ থাকবে। এছাড়া, আমেরিকার মেরিন বাহিনী একটি ট্রেন দে আরাগওয়া (Ven. মাদকচক্র) চালিত স্পিড বোট ডুবিয়ে ১১ জন নিহত করে, যা ভেনেজুয়েলা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, “যদি আপনি মাদকের জন্মস্থান ধ্বংস করেন, মাদক হাঁটুক যেখানে, সেটাই বড় হুমকি।” সব মিলিয়ে, এই সিদ্ধান্ত এবং কারাকাসের তীব্র প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিকভাবে উত্তেজনার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে, যা নতুন এক সংকট তৈরি করছে।