আমেরিকার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বাথেসডা, ম্যারিল্যান্ডে অবস্থিত বাড়িতে আজ শুক্রবার ফেডারেল তদন্তকারী সংস্থা FBI অভিযান চালালো, যা “গোপন নথি” সংক্রান্ত একটি দীর্ঘদিনে চলা জাতীয় নিরাপত্তা তদন্তের অংশ। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হওয়া রেডডি FBI পরিচালক ক্যাশ পাটেলের নির্দেশে করা হয়, যিনি ট্রাম্প প্রশাসনের এক সময়ের কর্মকর্তাও ছিলেন এবং একটি X (টুইটার) পোস্টে বলেন, “No one is above the law”, অর্থাৎ, “কেউ আইন থেকে উপরে নয়”।

22 August 2025 | Pic: Collected
রেডের সময় FBI এজেন্টরা শুধু বাড়িতেই নয়—এছাড়া বোল্টনের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত অফিসেও অভিযান চালায়, যেখানে উল্লেখ করা হয় “গোপন নথি” পাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছিল। মামলার সূত্র অনুসারে, এই তদন্তটি মূলত ২০২০ সালে বোলটনের আত্মজীবনী “The Room Where It Happened” প্রকাশের পর শুরু হয়েছিল, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে; যদিও পরবর্তীতে বাইডেন প্রশাসন সেই মামলা বন্ধ করে দেয় “রাজনৈতিক কারণে”। তদন্ত বর্তমানে পুনরায় চালু হয়েছে, আর এখন পর্যন্ত বোল্টনের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তার বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
এই ঘটনায় দীর্ঘদিনের ট্রাম্প-বিরোধ ও বৈরিতার মধ্যেই একটি উল্লেখযোগ্য মোড় আসে, কারণ বোল্টন প্রশাসনে থাকাকালীন থেকেও বরাবর ট্রাম্পর নীতি ও সিদ্ধান্তগুলোয় নিত্যভালো সমালোচনা করে আসছেন। অনুসন্ধান অবস্থানে থাকা বৃহস্পতিবার বোলটনের X অ্যাকাউন্টে একটি সমালোচনামূলক পোস্টও প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন; যদিও বিতর্ক রয়েছে, পোস্টটি কি সময় নির্ধারিত ছিল নাকি স্বয়ংক্রিয়—এটি স্পষ্ট নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ও FBI ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বোগিনো এই রেডের সমর্থন জানিয়ে বলেন, রাষ্ট্রে দুর্নীতি আরো আলোচ্য বিষয়—“পাবলিক করাপশন টলারেট করা হবে না” বলে মন্তব্য করেছেন।
মূল ঘটনাটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৫ ঐতিহাসিকভাবে FBI অন্যনিক তদন্ত ও কারনে জড়িয়ে রয়েছে, যেমন ট্রাম্প-র ফ্লোরিডার Mar-a-Lago বাড়িতে FBI-এর গোপন নথি অনুসন্ধান ২০২২ সালে করা হয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে বোল্টনের বাড়িতে অনুসন্ধান রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কঠোর তদন্তের ধারাবাহিকতা বহন করে।
সারসংক্ষেপে, অভিযানের লক্ষ্য গোপন নথি সংক্রান্ত তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা আর তদন্তের সময় এটি সরকার ও বিরোধীদের বিরোধের নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে; যদিও জন বোলটন এখনও গ্রেপ্তার হননি এবং কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তথ্য নিরাপত্তা, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রকাশনা স্বাধীনতা—সকল প্রশ্ন এখনো প্রশ্নেই রয়ে গেছে।